আসসালামু আলাইকুম! আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন। আমাদের আজকের ব্লগে আমরা বাইক চালানো সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আশাকরি এই বিষয় গুলো আপনাকে নানা রকম ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করবে।
আর এই বিষয় গুলো আপনি যদি জেনে রাখেন তাহলে ফিউচারে নানা রকম সমস্য থেকে মুক্তি পাবেন। আশাকরি আপনি এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ অব্দি পড়বেন।
আর আপনি যদি একজন বাইক চালক বা বাইকার হয়ে থাকেন বা পরিবারের কেউ যদি বাইক চালিয়ে থাকে তাহলে আপনার উচিৎ পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়া।
আজকের পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন বাইক নিয়ে রাস্তা,ঘাটে, বা কোথাও বের হওয়ার পুর্বে
কি কি বিষয় আপনার জানা অতিব জরুরি বা কোন কোন কোন বিষয় গুলো আগে থেকে জেনে নেওয়া উচিৎ।
আজকে আমি আমার ৫ বছরের বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা আপনার মাঝে শেয়ার করবো। আশাকরি অবশ্যই বাইক চালানোর পূর্বে সবাই এই বিষয় গুলো চেক করে নিবেন। তো চাহলে চলুন জেনে নিই-
বাইক চালানোর আগে চেক করা প্রাথমিক ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
বাইক চালানোর পূর্বে অবশ্যই এই বিষয় গুলো চেক করে নিতে হবে। নাহলে যেকোনো সময় যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটে জেতে পারে।
টায়ারের অবস্থা: টায়ার নিয়মিত পরীক্ষা করুন, কোনো ধরনের সমস্যা থাকলে সেগুলো সমাধান করে নিন।
ইংরেজ ওয়েল চেক: ভালো বাবে ইংরেজ ওয়েল চেক করুন। যে চক্রগুলি সঠিকভাবে নিয়মিত কাজ করছে কিনা এবং প্রয়োজনে তাদের চাকা প্রেসার যাচাই করুন।
ব্রেক সিস্টেম: ব্রেক প্যাড, ব্রেক লাইন, এবং ব্রেক ফ্লুইড স্তর ভালো ভাবে চেক করে নিন।
ইলেক্ট্রিক সিস্টেম: হেডলাইট, টেইল লাইট, সাইড মার্কার লাইট, টার্ন সিগন্যাল, হর্ন ইত্যাদি কাজ করছে কিনা এবং ব্যাটারি চার্জ এবং কন্ডিশন ঠিক আছে কিনা যাচাই করুন।
ইঞ্জিন ওয়েল মেয়াদ যাচাই: ইঞ্জিন তে অস্থায়ী গাঁথা কিংবা নিয়মিত সেবা করা হয়েছে কিনা এবং ইঞ্জিন ওয়েল লেভেল ঠিক আছে কিনা যাচাই করুন।
ফ্লুইড লেভেল: ইঞ্জিন ওয়েল, কুলান্ত ফ্লুইড, ব্রেক ফ্লুইড, স্টিয়ারিং ওয়েল ফ্লুইড এবং ইঞ্জিন কুলান্ত লেভেল ঠিক আছে কিনা যাচাই করুন।
মিটার স্ট্যান্ড: স্পীডোমিটার, ফুয়েল মিটার, টেম্পারেচার মিটার ইত্যাদির কাজকর্ম ঠিক আছে কিনা যাচাই করুন।
হর্ন এবং মিরর: হর্ন কাজ করছে কিনা এবং মিরর ঠিকমত কাজ করছে ঠিক আছে কিনা যাচাই করুন।
সিরিয়াল নম্বর ও ডকুমেন্টেশন: বাইকের সিরিয়াল নম্বর যাচাই করুন এবং বাইকের ডকুমেন্টেশন যেন সম্পূর্ণ আছে কিনা যাচাই করুন।
সাইড স্ট্যান্ড: সাইড স্ট্যান্ড ঠিকমত কাজ করছে কিনা এবং যেন স্ট্যান্ড বা কোনও অতিরিক্ত পরিবর্তন না থাকে। সেই বিষয়গুলো ভালোভাবে ঠিক আছে কিনা যাচাই করুন।
আবশ্যিক ডকুমেন্টস: প্রয়োজনে প্রাইমারি লাইসেন্স, ইনসিউরেন্স, রেজিস্ট্রেশন পেপারস ইত্যাদি সম্পূর্ণ আছে কিনা যাচাই করুন।
বাইক চালানোর আগে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি চেক করা উচিত:
১. বাইকের নিবন্ধন ও গ্রাহক কোন প্রকার অবৈধ নয় সেটা নিশ্চিত করুন।
২. বাইকের ডকুমেন্টস যেমনঃ রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (RC), ইন্সুরেন্স পলিসি, মোটর ট্যাক্স সার্টিফিকেট, প্রযুক্তিগত পরীক্ষা সার্টিফিকেট (যদি প্রযুক্তিগত পরীক্ষা আবশ্যক হয়) এগুলি যাচাই করুন।
৩. লাইটস, সাইনাল, হর্ন, স্টিয়ারিং ও ব্রেকের কাজ ঠিকঠাক কার্যকর কিন্তু নিজের যত্ন করে চেক করুন।
৪. টায়ারের শক্তি, বিল্ট, ও নখের গজ, বাইকের চেক করুন যাতে এগুলি ঠিকঠাক অবস্থায় আছে এবং যার প্রয়োজনে সঠিকভাবে ফাঁকা থাকে না।
৫. ইঞ্জিন তাপমাত্রা ও তেলের স্তর চেক করুন।
৬. সমস্ত লাইট ও মিটারের কাজকর্ম যাচাই করুন, সাইডমিরর, রিয়ার মিরর, হেডলাইট ও ব্রেক লাইট সব চেক করুন।
৭. পাশের গাড়ীগুলি এবং যানবাহন নিরাপত্তা স্থানের বাইকে চালনার নিয়ম পালন করে চলেছে তা নিশ্চিত করুন।
৮. বাইকের মান এবং ইঞ্জিন এলিমেন্ট চেক করুন।
৯. বাইকের চালনার জন্য সঠিক ধরনের হেলমেট পরেন এবং পরিপূর্ণ প্রয়োজনীয় প্রকৌশলের পরামর্শ অনুসরণ করুন।
১০. চালনার জন্য আপনি সামগ্রিকভাবে সজ্জিত হন এবং আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলি সহ নিরাপদে আছে কিনা চেক করুন।
১১. বিপজ্জনক রাস্তাগুলি দূরে সাধারণত এড়ানো এবং প্রায়োজনীয় সাইন এবং সিগন্যাল অনুসরণ করুন।
১২. প্রয়োজনে আপনার বাইক একটি সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যান যাতে সেখানে এর কোন সমস্যা না থাকে বা সেগুলি সঠিকভাবে সংশোধিত হয়েছে।
আশাকরি আজকের পোস্ট আপনার ভালো লেগেছে। আজকের পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করবেন। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
Tags:
Tips & Tricks